প্রকাশিত: ১৪/০৫/২০১৭ ১:১২ পিএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় কারাবন্দিদের জন্য একটি উন্মুক্ত কারাগার বা ওপেন জেল নির্মিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘এই ওপেন জেলের বন্দিরা কারাগারের সীমানার মধ্যেই থাকবেন। তবে কাজের জন্য বাইরে যাওয়া-আসার সুযোগও থাকবে তাদের জন্য।’
রবিবার (১৪ মে) ঢাকার চতুর্থ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সিনিয়র কারেকশন ম্যানেজারদের আঞ্চলিক সম্মেলন উপলক্ষে কারা অধিদফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কারা মহাপরিদর্শক এসব কথা বলেন। এসময় তিনি জানান, এরই মধ্যে এই কারাগারটি নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণসহ সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজও শেষ হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে কারা মহাপরিদর্শক বলেন, ‘ওপেন জেলের জন্য ২১ একর জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশেই এমন কারাগার রয়েছে। এসব কারাগার মূলত সংশোধনাগারের আদলে গড়ে তোলা হয়। আমাদের এখানেও একইভাবে কারাগারটি নির্মাণ করা হবে।’
কারা মহাপরিদর্শক আরও বলেন, ‘এই কারাগারে যারা থাকবেন, তারা একটি বাউন্ডারির মধ্যেই থাকবেন। তবে তাদের জন্য কাজের সুযোগ থাকবে। দুইটি প্রক্রিয়ায় তারা কাজ করতে পারবেন। প্রথমত, কারাগারের বাউন্ডারির মধ্যেই শিল্প-কারখানা থাকবে। কারাবন্দিরা সেসব কারখানায় কাজ করতে পারবেন। আবার কিছু কারাবন্দিদের জন্য কারাগারের বাইরেও কাজ করার সুযোগ থাকবে। তারা সকালে কাজের জন্য বাইরে যাবেন, কাজ শেষে সন্ধ্যায় ফিরে আসবেন।’ শিগগিরই কারাগারটি নির্মাণের কাজ শুরু হবে জানিয়ে তিনি জানান, এর নির্মাণ কাজ শেষ হতে কয়েক বছর সময় লাগবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ১৬ থেকে ১৯ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে চতুর্থ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সিনিয়র কারেকশন ম্যানেজারদের আঞ্চলিক সম্মেলন। এতে বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের ২৮ জন সিনিয়র কারেকশন ম্যানেজার অংশ নেবেন। এবারের সম্মেলনের স্লোগান রাখা হয়েছে ‘কারাগারের মধ্যে নিরাপত্তা এবং মানবিক চাহিদার ভারসাম্য’।
আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো বিভিন্ন কেসস্টাডি ব্যবহার করে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করবে। পাশাপাশি বন্দিশালাগুলো তৈরি, ডিজাইন, পরিকল্পনা ও পরিচালনার সময় যেন নিরাপত্তা ও মানবিক অবস্থার মধ্যে ভারসাম্য থাকে, সেসব বিষয়ে ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হবে সম্মেলনে।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো হলো— বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, চীন, ফিজি, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, পাকিস্তান, পাপুয়া নিউগিনি, ফিলিপাইন, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড ও ভানুয়াতু। আন্তর্জাতিক রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (আইসিআরসি) এই সংবাদ সম্মেলন সমন্বয় করে থাকে।

পাঠকের মতামত

‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার রাজি থাকা সত্ত্বেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হওয়ার কারণ খুঁজতে হবে’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ...